পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ম ও সূরা

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ম ও সূরা
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সূরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত ও দোয়া নামাজের নিয়ম ও দোয়া সমূহ নামাজ পড়ার নিয়ম ও সূরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ম কত রাকাত পূর্ণাঙ্গ নামাজের নিয়ম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মোট কত রাকাত


পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ম

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কিত লেখায় আপনাকে স্বাগতম। ইসলাম ধর্মের পাঁচটি রুকন অর্থাৎ পাঁচটি প্রধান জিনিস রয়েছে। ঈমানের পর সর্ব শ্রেষ্ঠ আমল হচ্ছে নামাজ। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা অনেকেই নামাজ পড়তে জানি না। নামাজ পড়লেও সঠিকভাবে কীভাবে নামাজ পড়তে হয় তা জানি না। তাই আপনাদের সুবিধার্থে KBD24 Website আপনাদের জন্য নামাজ পড়ার নিয়ম সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করেছে।

নামাজ শব্দ অর্থ কি?

নামাজ বা নামায মূলত একটি ফার্সি শব্দ। এটি আরবি শব্দ সালাত বা সালাহ থেকে এসেছে।
আরবি- ٱلصَّلَوَات‎‎ আস-সালাওয়াত এর অর্থ হলো- ‘দোয়া’, ‘প্রার্থনা’, ‘প্রশংসা’ বা ‘আশীর্বাদ’।নামাজ বা সালাত হলো আমাদের ইসলাম ধর্মের প্রধান উপাসনাকর্ম। নামাজ ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।
প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্যই ফরজ। নামাজের সঠিক নিয়ম জানা তাই আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  ফরজ (আরবিতে: فَرْضُ) সাধারণত দুই প্রকার। দুই প্রকার ফরজের মধ্যে নামাজ ফরজে আইনের অন্তর্ভুক্ত।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কত রাকাত সুন্নত?

ফজরের নামাজে ফরযের পূর্বে দুই রাকাত সুন্নাত।
যোহরের নামাজে ফরযের পূর্বে চার রাকাত ও ফরযের পরে দুই রাকাত মোট ছয় রাকাত সুন্নাত
আছরের নামাজে ফরযের পূর্বে চার রাকাত সুন্নাত। আসরের নামজের সুন্নাত অনেকেই পরে না
মাগরিবের নামাজে ফরযের পরে দুই রাকার সুন্নাত
ইশার নামাজে মোট দুই রাকাত সুন্নাত

প্রতি নামাজ কত রাকাত

ফজরঃ ২ রাকাত সুন্নত, তারপর ২ রাকাত ফরজ। যোহর: 4 রাকাত সুন্নত, তারপর 4 রাকাত ফরজ, তারপর 2 রাকাত সুন্নত, । আসরঃ ৪ রাকাত ফরজ। মাগরিবঃ ৩ রাকাত ফরজ, তারপর ২ রাকাত সুন্নত, এশার ৪ রাকাত ফরজ ২ রাকাত সুন্নাত। ৩ রাকাত বিতের। 

নামাজ পড়ার পূর্বে কিছু আহকাম রয়েছে যা আপনাকে অবশ্যই পালন করতে হবে।

নামাজ পড়ার পূর্ব শর্ত হচ্ছে আপনাকে পাক-পবিত্র হতে হবে। হোক সেটা ওযু বা গোসল।
পাক-পবিত্র কাপড় পরিধান করতে হবে।
সত্তর ঢাকতে হবে।
পাক ও পরিষ্কার স্থানে নামাজ পড়তে হবে।
অবশ্যই কেবলা মুখে হতে হবে।
কোনো মাখরুহ্ ওয়াক্তে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার নিয়ম
মুসলিমদের জন্য ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে। যথা:

ফজর
জোহর
আসর
মাগরিব
এশা


ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ম

ফজরের নামাজের প্রথমে দুই রাকাআত সুন্নাত ও পরে দুই রাকাআত ফরজ

ফজরের দুই রাকাআত সুন্নত নামাজের নিয়ত

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আমাদের অবশ্যই নেয়াত করতে হবে তবে সে নিয়ত মুখে উচ্চারণ সহকারে না আমাদের নামাজের নিয়ত অবশ্যই অন্তরে হতে হবে

ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়ম

সর্বপ্রথম অজু করে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়াতে হবে এবং নিয়ত করতে হবে। এরপর আল্লাহু আকবার বলে তাকরিমে তাহরিমা অর্থাৎ হাত বাঁধতে হবে। এরপর মনে মনে ছানা পরতে হবে।

ছানা:- “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তা’আলা জাদ্দুকা, ওয়া লা ইলাহা গইরুক।”

অর্থ : “হে আল্লাহ্! আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তুমি প্রশংসাময়, তোমার নাম বরকতময়, তোমার মর্যাদা অতি উচ্চে, আর তুমি ব্যতীত সত্যিকার কোনো মাবুদ নাই।”

এরপর আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতিহা পাঠ করবেন। এরপর আবার বিসমিল্লাহ বলে একটি ছোট সূরা পড়বেন। অবশ্যই এটা নিঃশব্দে পড়তে হবে।

এরপর আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যাবেন। রুকুতে গিয়ে পাঠ করবেন, 

“সুবহানাল্লাহ রাব্বিয়াল আযিম”

কমপক্ষে তিনবার পাঠ করবেন এবং বেশি পাঠ করলে বেজোড় সংখ্যক পাঠ করবেন।

এরপর “সামি আল্লাহু লিমান হামিদা” বলে সোজা দাঁড়াবেন। দাঁড়ানোর পর বলবেন “রাব্বানা লাকাল হামদ্”

এরপর আল্লাহু আকবার বলে সেজদাতে চলে যাবেন। খেয়াল রাখবেন সবার আগে হাঁটুর জমিনে লাগবে এরপর দুই হাত এবং পরে নাক ও কপাল।

সেজদায় গিয়ে বলবেন ঃসুবহানা রাব্বিয়াল আলা

সর্বনিম্ন তিনবার “সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” পাঠ করে আল্লাহু আকবার বলে বসবেন। দুই তিন সেকেন্ড অপেক্ষা করে আবারো আল্লাহু আকবার বলে দ্বিতীয় সেজদা করবেন।

দ্বিতীয় সেজদায় তসবিহ্ পাঠ করে আল্লাহু আকবার বলে সোজা দাঁড়াবেন।

এবার প্রথম রাকাআতের মতো আবারও নিঃশব্দে সুরা ফাতিহা ও অন্য সূরা পাঠ করবেন এবং রুকু ও সেজদা করবেন।

দ্বিতীয় রাকাতে দ্বিতীয় সিজদার পর আল্লাহু আকবার বলে বসবেন। এই বসাকে বলে “আখেরি বৈঠক”
এখন আপনি তাশাহুদ পাঠ করবেন।

তাশাহুদ:- আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াসসালাওয়াতু ওয়াত্ ত্বায়্যিবাতু, আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ, আসসালামু আলাইনা ওয়া ‘আলা ইবাদিল্লাহিস সলিহিন, আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।

অর্থ : “সকল সম্মান, সকল উপাসনা ও সকল পবিত্র বিষয় আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর সকল অনুগ্রহ ও সমৃদ্ধি নাযিল হোক। শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের উপরে ও আল্লাহর সৎকর্মশীল বান্দাদের উপরে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (স.) তাঁর বান্দা ও রাসূল।”

তাশাহুদ পাঠের পর দুরুদে ইব্রাহিম পাঠ করবেন।

দুরুদ শরীফ:- আল্লাহুম্মা ছাল্লিআলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ।
আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলাআলি মুহাম্মাঁদিন কামা বারকতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ।

এরপর দোয়ায়ে মাসুরা পাঠ করবেন।

দোয়ায়ে মাসুরা:- আল্লাহুম্মা ইন্নি যালামতু নাফসি যুলমান কাসিরাওঁ ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয জুনূবা ইল্লা আন্তা, ফাগফির লি মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনি ইন্নাকা আন্তাল গফুরুর রহিম

দোয়ায়ে মাসুরা বাংলা অর্থ:- হে আল্লাহ্‌! আমি আমার নিজের আত্মার উপর বড্ড অত্যাচার করেছি, গুনাহ মাফকারী একমাত্র আপনিই। অতঃএব আপনি নিজ থেকেই আমাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করে দিন এবং আমার প্রতি দয়া করুন। নিশ্চয়ই আপনি পরম ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।

দোয়ায়ে মাসুরা পাঠ শেষ হলে, ডানদিকে সালাম ফিরাবেন আর বলবেন আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

অতঃপর বামদিকে একই বাক্য পাঠ করে সালাম ফিরাবেন।

আলহামদুলিল্লাহ, এভাবে আপনি ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করবেন।

ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ম

ফরজ দুই রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত : পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আমাদের অবশ্যই নেয়াত করতে হবে তবে সে নিয়ত মুখে উচ্চারণ সহকারে না আমাদের নামাজের নিয়ত অবশ্যই অন্তরে হতে হবে

নিয়ত করার পর প্রথমে যেভাবে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়েছেন এটাও একই ভাবে পড়বেন কিন্তু কিছু পরিবর্তন আছে।

১. এই নামাজের নিয়ত হতে হবে ফজরের ফরজ নামাজ এর।
২. এই নামাজে তেলাওয়াত অর্থাৎ সূরা গুলো উচ্চ স্বরে পাঠ করবেন।
৩. যেভাবে সুন্নত নামাজে সবগুলো তসবিহ্ আদায় করেছেন এখানেও সেভাবেই তসবিহ্ আদায় করবেন।
৪. আলহামদুলিল্লাহ আপনি শিখে গেলেন কীভাবে ফজরের ফরজ নামাজ পড়তে হয়।

জোহরের নামাজ পড়ার নিয়ম

জোহরের নামাজ প্রথমে চার রাকাআত সুন্নাত।
এরপর চার রাকাআত ফরজ।
তারপর দুই রাকাআত সুন্নাত।

জোহরের প্রথম চার রাকাআত সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়ত: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আমাদের অবশ্যই নেয়াত করতে হবে তবে সে নিয়ত মুখে উচ্চারণ সহকারে না আমাদের নামাজের নিয়ত অবশ্যই অন্তরে হতে হবে

যেভাবে আপনি ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়েছেন ঠিক একইভাবে একই তরিকায় জোহরের চার রাকাত সুন্নত নামাজ পড়তে হবে। কিছু ক্ষেত্রে একটু পার্থক্য আছে।

প্রথম দুই রাকাআত নামাজে আখেরি বৈঠকে শুধু তাশাহুদ পাঠ করবেন।
তাশাহুদ পাঠ করে আল্লাহ বলে সোজা দাঁড়িয়ে যাবেন এবং পূর্বের শেখানো নিয়ম অনুসারে আবার নামাজ পড়া শুরু করবেন।
উল্লেখ্য যে, এই চার রাকাত নামাজে প্রতিবার সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর অন্য একটি সূরা পাঠ করতে হবে।
চতুর্থ রাকাআতে শেষ বৈঠকে পূর্বের ন্যায় তাশাহুদ, দুরুদ ও দোয়ায়ে মাসুরা পাঠ করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবেন
জোহরে চার রাকাত ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ম

জোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আমাদের অবশ্যই নেয়াত করতে হবে তবে সে নিয়ত মুখে উচ্চারণ সহকারে না আমাদের নামাজের নিয়ত অবশ্যই অন্তরে হতে হবে

যেভাবে আপনি যোহরের চার রাকাত সুন্নত নামাজ পড়েছেন। এভাবেই আপনাকে জোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজ পড়তে হবে তবে কিছু পার্থক্য আছে।

ফরজ নামাজ পড়ার পূর্বে ইকামত দিতে হবে।
নিয়ত ফরজ নামাজের করতে হবে।
নিঃশব্দে তেলাওয়াত করতে হবে।
যোহরের ফরজ নামাজের তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাআতের তেলওয়াতে শুধু সূরা ফাতিহা পাঠ করবেন। অন্য কোনো সূরা পাঠ করবেন না।
যথারীতি চতুর্থ রাকাআতের শেষ বৈঠকে দোয়া গুলো পাঠ করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবেন।

জোহরের শেষ দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়ম

সুন্নত নামাজের নিয়ত :পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আমাদের অবশ্যই নেয়াত করতে হবে তবে সে নিয়ত মুখে উচ্চারণ সহকারে না আমাদের নামাজের নিয়ত অবশ্যই অন্তরে হতে হবে

যেভাবে আপনি ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়েছেন সেভাবেই জোহরের শেষ দুই রাকাত সুন্নত পড়বেন।



আসরের নামাজ পড়ার নিয়ম

আসরের চার রাকাআত নামাজ পড়া ফরজ। তবে ফরজের আগে চার রাকাআত সুন্নাত নামাজ রয়েছে তবে সেটা না পড়লেও কোনো গুনাহ্ নেই।

আসরের চার রাকাআত ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ম

আসরের চার রাকাআত ফরজ নামাযের নিয়ত:পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আমাদের অবশ্যই নেয়াত করতে হবে তবে সে নিয়ত মুখে উচ্চারণ সহকারে না আমাদের নামাজের নিয়ত অবশ্যই অন্তরে হতে হবে

যেভাবে আপনি জোহরের ফরজ চার রাকাআত নামাজ আদায় করেছেন, ঠিক সেভাবেই আসরের চার রাকাআত ফরজ নামাজ আদায় করবেন।

মাগরিবের নামাজ পড়ার নিয়ম

মাগরিবে প্রথম তিন রাকাআত নামাজ ফরজ। এরপর দুই রাকাআত সুন্নাত।

মাগরিবের তিন রাকাআত ফরজ নামাযের নিয়ত :পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আমাদের অবশ্যই নেয়াত করতে হবে তবে সে নিয়ত মুখে উচ্চারণ সহকারে না আমাদের নামাজের নিয়ত অবশ্যই অন্তরে হতে হবে

মাগরিবের তিন রাকাআত ফরজ নামাজে কিছু পার্থক্য রয়েছে।

মাগরিবের তিন রাকাআত ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাআতের তেলাওয়াত উচ্চ স্বরে হবে। তৃতীয় রাকাআতে শুধু সুরা ফাতেহা পাঠ করবেন এবং নিঃশব্দে।

দ্বিতীয় রাকাতের বৈঠকে শুধু তাশাহুদ পাঠ করে আল্লাহু আকবার বলে উঠে দাঁড়াবেন। এরপর তৃতীয় রাকাআত শুরু করবেন।

যথারীতি এই নামাজের আখেরি বৈঠকে দোয়া সমূহ পাঠ করে সালামের মাধ্যমে নামাজ শেষ করবেন।

মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নাত নামাযের নিয়ম

মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নাত নামাযের নিয়ত : পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আমাদের অবশ্যই নেয়াত করতে হবে তবে সে নিয়ত মুখে উচ্চারণ সহকারে না আমাদের নামাজের নিয়ত অবশ্যই অন্তরে হতে হবে

এর পূর্বের ওয়াক্ত সমূহে যেভাবে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পাঠ করেছিলেন এটাও সেভাবেই পাঠ করবেন।

এশার নামাজ পড়ার নিয়ম

এশার নামাজে প্রথম চার রাকাআত ফরজ। এরপর দুই রাকাআত সুন্নত। অতঃপর তিন রাকাআত বিতর। বিতর পড়া ওয়াজিব।

এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ম

এশার চার রাকায়াত ফরজ নামাজের নিয়ত : পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আমাদের অবশ্যই নেয়াত করতে হবে তবে সে নিয়ত মুখে উচ্চারণ সহকারে না আমাদের নামাজের নিয়ত অবশ্যই অন্তরে হতে হবে

যেভাবে আপনি যোহর ও আসরের চার রাকাত ফরজ নামাজ পড়েছেন এখানেও সেভাবেই পড়তে হবে। পার্থক্য শুধু দুটি।

১. নিয়ত এশার নামাজের করতে হবে।
২. প্রথম দুই রাকাতের তেলাওয়াত উচ্চস্বরে করতে হবে।
এশার দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়ম:
সুন্নাত নামাজের নিয়ত: “পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আমাদের অবশ্যই নেয়াত করতে হবে তবে সে নিয়ত মুখে উচ্চারণ সহকারে না আমাদের নামাজের নিয়ত অবশ্যই অন্তরে হতে হবে

পূর্বের বর্ণিত দুই রাকাত সুন্নত নামাজের মতো এখানেও সেভাবেই আদায় করবেন।

তিন রাকাত বিতেরের নামাজের নিয়ম:

তিন রাকায়াত বেতের নামাজের নিয়ত: “পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আমাদের অবশ্যই নেয়াত করতে হবে তবে সে নিয়ত মুখে উচ্চারণ সহকারে না আমাদের নামাজের নিয়ত অবশ্যই অন্তরে হতে হবে

আপনি যেভাবে মাগরিবের তিন রাকাআত নামাজ আদায় করেছেন, এটাও সেভাবে আদায় করতে হয় তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন রয়েছে।

১. এই নামাজ একা পাঠ করলে নিঃশব্দে পাঠ করাই উত্তম।
২. এই নামাজের তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার পর অন্য একটি সূরা পড়তে হয়।
৩. তৃতীয় রাকাতে অন্য একটি সূরা পাঠ করার পর আল্লাহু আকবার বলে কান পর্যন্ত হাত ওঠাতে হয় এবং তাকবীরে তাহরীমা অর্থাৎ হাত বাঁধতে হয়।
৪. শেষ তাকবীরে তাহরীমা অর্থাৎ হাত বাঁধার পর দোয়ায়ে কুনুত পড়তে হয় এবং এটা পড়া ওয়াজিব।

দুয়ায়ে কুনুত বাংলা উচ্চারণ:

আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাইনুকা, ওয়া নাস্তাগফিরুকা, ওয়া নুমিনু বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু ‘আলাইকা, ওয়া নুছনি ‘আলাইকাল খইর, ওয়া নাশকুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ, ওয়া নাতরুকু মাই ইয়াফজুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া লাকানুসল্লি, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস’আ, ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্ফারি মুলহিক্ক

আরো পড়ুন: আজকের আরবি কত তারিখ

দোয়ায়ে কুনুত বাংলা অর্থ:
“হে আল্লাহ! আমরা তোমারই সাহায্য চাই, তোমারই নিকটই ক্ষমা চাই, তোমারই প্রতি ঈমান রাখি, তোমারই ওপর ভরসা করি এবং সকল মঙ্গল তোমারই দিকে ন্যস্ত করি। আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি, অকৃতজ্ঞ হই না এবং যারা তোমার অবাধ্য হয় তাদের থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করি ও তাদেরকে পরিত্যাগ করি। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই দাসত্ব করি, তোমারই জন্য নামায পড়ি, এবং তোমাকেই সিজদাহ করি, আমরা তোমারই দিকে দৌড়িয়ে এগিয়ে চলি। আমরা তোমারই রহমত আশা করি এবং তোমারই আযাবকে ভয় করি আর তোমার আযাব তো কাফেরদের জন্যই র্নিধারিত।”

নামাজ শেষে মোনাজাত করার নিয়ম

রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনইয়া হাসানাও ওয়াফিল আখিরাতি হাছানাতাও ওয়া কিনা আযাবান্নার। ওয়া সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলা খাইরি খালক্বিহি মুহাম্মাদিও ওয়া আলিহি ওয়াআছহাবিহি আজমায়ীন, বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ম ও সূরা,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ম,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ম কত রাকাত,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ম কারণ,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের,

Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post